শান্তা মারা যাওয়ার আগে টাকা রেখে গেলেন মসজিদের জন্য এবং লিখে গেলেন সুইসাইট নোট
ভালোবাসা দিবসের আগেই আত্মহত্যা করলেন এক প্রেমিকা। মায়ের কারণে নিজের ভালোবাসার মানুষটিকে আপন করে নিতে পারবেন না বলেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি পৌরসদর হামজার টিলা এলাকার আজমা পারভীন শান্তা (২২)।
বাবা-মাকে কষ্ট দিয়ে পালিয়ে বিয়ে করতেও চাননি তিনি। উভয় সংকটে পড়ে শুক্রবার সকালে নিজের প্রাণ উৎসর্গ করেন তিনি। আত্মহত্যার আগে মাকে হৃদয়স্পর্শী চিঠি লিখে যান তিনি। পরে পুলিশ এসে তার লাশ উদ্ধার করে। এসময় কিছু টাকা ও সুইসাইট নোট উদ্ধার করে পুলিশ।
সুইসাইট নোট লেখা- ‘আম্মু আমাকে মাফ করে দিও, আমি এগুলো কিছু করতে চাইনি। আমি শুধু আমার ভালোবাসার মানুষটাকে কাছে পেতে চেয়েছি। আব্বুকে বল, আমাকে মাফ করে দিও। সবাইকে বলু (বল) আমাকে মাফ করে দিতে। আমি যানি (জানি) কখনও আমার ভালোবাসার মানুষটাকে আমি পাব না। কারণ, তুমি মেনে নিবে না। আর তোমার মনেও আমি কষ্ট দিতে পারব না। আগেও দিতে পারিনি। আমার কথা ভেবে মন খারাপ করো না। তোমার আরও দুটা সন্তান আছে। তাদের কথাও তোমাকে ভাবতে হবে। আমার ভালোবাসার মানুষটাকে কষ্ট দিও না। প্লিজ টাকাগুলো মসজিদে দিও।’
থানা ও শান্তার স্বজন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের হরিনাদিঘী গ্রামের গোলাম রহমান ও মমতাজ বেগমের মেয়ে শান্তা। দুই মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে সুখের সংসার তাদের। বড় মেয়ে শান্তাকে ৮ম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় ৫/৬ বছর আগে বিয়ে দেয় এবং সে সংসার ভেঙে যায়।
জানা যায়, এ বিয়ে ভেঙে যাবার নেপথ্যে শান্তার মায়ের ভূমিকা ছিল বলে পারিবারিক অশান্তি নিয়ে সালিশি বৈঠকে কথা উঠেছিল। এরপর হতে শান্তা মায়ের সাথে ওই ভবনে বসবাস করে আসছিল।
এরই মধ্যে শান্তার বাবা গোলাপ প্রবাস হতে বাড়ি এলে শান্তার মা মমতাজ বেগমের বেপরোয়া জীবন যাপনের কারণে কয়েক বার ঝগড়া হয়। এ নিয়ে সালিশ বসে কয়েকবার।
অশান্তিতে ঘেরা এ পরিবারে শান্তা আরেক ছেলেকে ভালোবাসে। ভালোবাসার ছেলেটিকে পেতে শান্তা মরিয়া হলেও তার মা মমতাজ বেগমের কারণে ভালোবাসার মানুষকে পাবে না বলেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) বিদ্যুৎ কুমার বড়ুয়া জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে ফটিকছড়ি করোনেশন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনে হামজার টিলার ছাদেক ভবনের দ্বিতীয় তলায় নিজ শয়ন কক্ষে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আজমা পারভীন শান্তা (২২) আত্মহত্যা করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে শান্তার বাবা গোলাফ রহমান বাদী হয়ে থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে। লাশের সুরতহাল রিপোর্টের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
ভালোবাসা দিবসের আগেই আত্মহত্যা করলেন এক প্রেমিকা। মায়ের কারণে নিজের ভালোবাসার মানুষটিকে আপন করে নিতে পারবেন না বলেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি পৌরসদর হামজার টিলা এলাকার আজমা পারভীন শান্তা (২২)।
বাবা-মাকে কষ্ট দিয়ে পালিয়ে বিয়ে করতেও চাননি তিনি। উভয় সংকটে পড়ে শুক্রবার সকালে নিজের প্রাণ উৎসর্গ করেন তিনি। আত্মহত্যার আগে মাকে হৃদয়স্পর্শী চিঠি লিখে যান তিনি। পরে পুলিশ এসে তার লাশ উদ্ধার করে। এসময় কিছু টাকা ও সুইসাইট নোট উদ্ধার করে পুলিশ।
সুইসাইট নোট লেখা- ‘আম্মু আমাকে মাফ করে দিও, আমি এগুলো কিছু করতে চাইনি। আমি শুধু আমার ভালোবাসার মানুষটাকে কাছে পেতে চেয়েছি। আব্বুকে বল, আমাকে মাফ করে দিও। সবাইকে বলু (বল) আমাকে মাফ করে দিতে। আমি যানি (জানি) কখনও আমার ভালোবাসার মানুষটাকে আমি পাব না। কারণ, তুমি মেনে নিবে না। আর তোমার মনেও আমি কষ্ট দিতে পারব না। আগেও দিতে পারিনি। আমার কথা ভেবে মন খারাপ করো না। তোমার আরও দুটা সন্তান আছে। তাদের কথাও তোমাকে ভাবতে হবে। আমার ভালোবাসার মানুষটাকে কষ্ট দিও না। প্লিজ টাকাগুলো মসজিদে দিও।’
থানা ও শান্তার স্বজন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের হরিনাদিঘী গ্রামের গোলাম রহমান ও মমতাজ বেগমের মেয়ে শান্তা। দুই মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে সুখের সংসার তাদের। বড় মেয়ে শান্তাকে ৮ম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় ৫/৬ বছর আগে বিয়ে দেয় এবং সে সংসার ভেঙে যায়।
জানা যায়, এ বিয়ে ভেঙে যাবার নেপথ্যে শান্তার মায়ের ভূমিকা ছিল বলে পারিবারিক অশান্তি নিয়ে সালিশি বৈঠকে কথা উঠেছিল। এরপর হতে শান্তা মায়ের সাথে ওই ভবনে বসবাস করে আসছিল।
এরই মধ্যে শান্তার বাবা গোলাপ প্রবাস হতে বাড়ি এলে শান্তার মা মমতাজ বেগমের বেপরোয়া জীবন যাপনের কারণে কয়েক বার ঝগড়া হয়। এ নিয়ে সালিশ বসে কয়েকবার।
অশান্তিতে ঘেরা এ পরিবারে শান্তা আরেক ছেলেকে ভালোবাসে। ভালোবাসার ছেলেটিকে পেতে শান্তা মরিয়া হলেও তার মা মমতাজ বেগমের কারণে ভালোবাসার মানুষকে পাবে না বলেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) বিদ্যুৎ কুমার বড়ুয়া জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে ফটিকছড়ি করোনেশন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনে হামজার টিলার ছাদেক ভবনের দ্বিতীয় তলায় নিজ শয়ন কক্ষে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আজমা পারভীন শান্তা (২২) আত্মহত্যা করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে শান্তার বাবা গোলাফ রহমান বাদী হয়ে থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে। লাশের সুরতহাল রিপোর্টের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
শান্তা মারা যাওয়ার আগে টাকা রেখে গেলেন মসজিদের জন্য এবং লিখে গেলেন সুইসাইট নোট
Reviewed by Admin
on
February 05, 2016
Rating:
No comments: